শিক্ষক নিয়োগে ১৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে: মামুনুর রশীদ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ১৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জনপ্রিয় নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এই টাকা দিয়ে যারা শিক্ষক হবে তারা আমাদের সন্তানদের কী পড়াবে?

শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাবন্দী মুন্সিগঞ্জের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মন্ডলের মুক্তির দাবিতে ওই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

শিক্ষক নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন মামুনুর রশীদ বলেন, এবার সাড়ে চার হাজার শিক্ষক নেওয়া হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অলরেডি ১৫ লাখ টাকা করে তোলা শুরু হয়ে গেছে। এই ১৫ লাখ টাকা দিয়ে যারা শিক্ষক হবে, তারা আমাদের সন্তানদের আগামী ৩০-৪০ বছর পড়াবে।

তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সমালোচনা করে বলেন, এত বড় বাণিজ্য হচ্ছে অথচ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কোনো উদ্বেগ নেই। টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়া এসব শিক্ষকরাই একদিন হৃদয় মন্ডলদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই ওঁৎ পেতে বসে থাকে কবে শিক্ষক নেওয়া হবে। কখন লাখ লাখ টাকা ভাগ বাটোয়ারা হবে। এসব সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বলি হচ্ছে হৃদয় মন্ডলরা। আমরা টিনের তলোয়ার নিয়ে হৃদয় মন্ডলের পাশে থাকব। দেখি রাষ্ট্র কি করে। বিচার ব্যবস্থা কি করে? এটা আমরা দেখে ছাড়ব।

এ সময় সংস্কৃতি কর্মীদের পক্ষ থেকে কারাবন্দী শিক্ষক হৃদয় মন্ডলের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস টিপকাণ্ড, হৃদয় মন্ডলের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা এবং নওগাঁর হিজাবকাণ্ড একইসূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করে সবগুলো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

কর্মসূচিতে নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট্রি মফিদুল হক প্রমুখ অংশ নেন।

এসএইচ-২৬/০৯/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)