রাত পোহালেই খুশির ঈদ

দেশের আকাশে সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসাবে রাত পোহালেই ঈদ। জামাতের জন্য প্রস্তুত সারা দেশের ঈদগাহ।

পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধব মিলে দলবেঁধে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার আনন্দ অন্য রকম প্রশান্তির। কিন্তু করোনার থাবায় এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এবার বিধিনিষেধ না থাকায় প্রস্তুত ঈদগাহ।

দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বড় বড় ঈদ জামাতের জন্য ঈদগাহ ময়দান ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার পাশাপাশি রোলার দিয়ে উঁচু-নিচু মাঠ সমান করা হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে টানানো হচ্ছে সামিয়ানা। তবে ভারি বৃষ্টি হলে বিভিন্ন মসজিদে হবে ঈদ জামাত।

মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় নিশ্চিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহ মাঠ ও এর আশপাশে নিয়োজিত থাকবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি ঈদ সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করবে এমনটাই প্রত্যাশা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।

এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়ে শেকড়ের কাছে ফিরেছেন নিত্য ব্যস্ত থাকা স্বজনরা। নানা কারণে যারা আটকা পড়েছিলেন শেষ মুহূর্তের নির্ঝঞ্ঝাট যাত্রায় তাদেরও গন্তব্য শৈশবের উঠান ও প্রিয় মুখগুলোর কাছে। শিমুলিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারে আছে মোটরসাইকেলের জট।

তবে মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা। আর ট্রেনে ভেতর কি ছাদে, কোথাও নেই যাত্রীর ভিড়। নির্বিঘ্নে বাড়ির ফেরার আনন্দ সবার চোখেমুখে।

এসএইচ-১৮/০২/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)