চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, শতক পেরিয়ে হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। তবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৮৩ জন। যা বুধবার ছিল ২ হাজার ২৪১ জনে। আগেরদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় চারজনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ১৩ হাজার ৭৮২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৩ হাজার ৯০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫০৯ জন।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
এসএইচ-১৭/৩০/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)