অফিসের নতুন সময়সূচি নিয়ে যে যা বলছেন

বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মঘণ্টা কমিয়ে, সকাল ৮টা থেকে অফিস শুরুর প্রথম দিনেই কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলছেন, এতে কাজের ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি হবে না। সময় অপচয় না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করার তাগিদ দেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনীতির চাপ সামলাতে, অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও, একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে, লোডশেডিংয়ের পর, জ্বালানি সাশ্রয়ে এবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শুরু হলো সরকারি অফিস-আদালত।

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে প্রথম দিনে নির্ধারিত সময়েই আসেন অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেছেন, এতে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে সরকারের লক্ষ্য পূরণে এটি সহায়ক হবে।

এ বিষয়ে সচিবালয়ের গেটে এক নারী কর্মকর্তা বলেন, এমন সিদ্ধান্তে অনেকে অনেক কথাই বলতে পারে। কিন্তু এটি আমাদের জন্য বেশ ভালো হয়েছে। বিকেলে আমরা অনেকটা সময় পাব।

অপর এক নারী কর্মকর্তা বলেন, সকাল সকাল অফিস শুরু হওয়াতে আমাদের অনেক সময় বাঁচবে। বিশেষ করে আমাদের নারীদের জন্য বেশ সুবিধা হবে।

লোডশেডিংয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়ার কথা জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আগে সকাল ১০টা থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তো। এখন সকাল ৯টা থেকেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যা থেকে পিক আওয়ারটা যদি দিনের বেলা চলে আসে, তাহলে আমরা একটা ভারসাম্য আনতে পারব।

এদিকে সময় অপচয় না করে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের। তিনি বলেন, প্রতিটি অফিসপ্রধানকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এই অল্প সময়ে স্মার্টলি দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে জনগণকে সেবা দেয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নেয়া নতুন উদ্যোগ খাদ্যশস্য ও অন্য উৎপাদন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।

এসএইচ-১৬/২৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)