রোডম্যাপ সংশোধন না করলে ফের বিতর্কিত নির্বাচনের শঙ্কা

জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত রোডম্যাপ সংশোধন না করলে আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতোই বিতর্কিত নির্বাচনের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বলেন, ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন; গণতান্ত্রিক সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ইসির রোডম্যাপকে চূড়ান্ত না ভেবে আবার সংশোধন করা যেতে পারে। বিশেষ করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন তিনি।

টিআইবির এ নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, তত্বাবধায়ক সরকার আদর্শ গণতান্ত্রিক চর্চা নয়। কিন্তু মন্ত্রিত্ব বহাল রেখে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও তৈরি সম্ভব নয়। আইন সংস্কার করে এমপি-মন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে ইসিকেই। নির্বাচনের সময় ইন্টারনেটের গতি হ্রাস ও গণমাধ্যম সংবাদ সংকুচিত করার নজির আছে জানিয়ে ইসিকে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার চর্চার আহ্বান জানায় টিআইবি।

প্রসঙ্গত, বুধবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রকাশিত ২০ পৃষ্ঠার কর্মপরিকল্পনায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ভোট হবে ডিসেম্বরের শেষ অথবা চব্বিশ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে; মোট ১৫ দিনের মধ্যে ভোটের সময় রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে সেসময় মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচনের পথে ১৪টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে ইসি। এগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে কর্মপরিকল্পনার কথাও সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে মোট ১৯টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে কর্মপরিকল্পনায়।

এসএইচ-০৩/১৫/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)