সিইসিও জানতেন না ইভিএমে ভোট পুনর্গণনা হয়!

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রথমবারের মতো ভোট পুনর্গণনা করা হয়েছে। শনিবার  ভোট পুনর্গণনার পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল নিজেও জানতেন না যে ইভিএম ভোট পুনর্গণনা করা যায়?

কারণ গত ২২ মার্চ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, বিশিষ্টজনদের অনেকে জানিয়েছেন যে ইভিএমে ভালো দিক রয়েছে, দ্রুত গণনা হয়ে যায়। কিন্তু পুনর্গণনার সমস্যা রয়েছে; ব্যালটে পুনর্গণনা করা যায়। কারিগরি কমিটির মিটিং করে আমাদের ইভিএম সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে হবে। কেউ কেউ বলেছেন, সঠিক হলে তা চালিয়ে যেতে হবে।

এরপর গত ২৪ আগস্ট কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের ফলাফলের ধরন দেখে বোঝা যাবে আসলে এ যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো কারচুপি করা হয়েছে কি না। ইভিএমে যাওয়ার একটা বড় সিদ্ধান্ত আমাদের নিজেদের। রাজনৈতিক দল নয়, ভোট হ্যান্ডেল করবে ইসি।

এদিকে রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। তখন উত্তর সিটির ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের এক প্রার্থী ভোট পুনর্গণনার জন্য মামলা করেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে। পরে ওই ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোট পুনর্গণনার জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এ কমিটি শনিবার সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোট পুনর্গণনা করে। এতে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনায় একই ফল পাওয়া যায়।

এ সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার, প্রার্থী, এজেন্ট ও তাদের আইনজীবীরাও ছিলেন।

ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলেও তা পুনর্গণনা করা যায় বলে জানানো হয় ইসি সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলা হয়, ভোট পুনর্গণনার জন্য নির্বাচনী মালামালের সিলগালা বস্তা খোলা হয়। ইভিএম মেশিনে অডিটকার্ড প্রবেশ করিয়ে তা থেকে ফলাফল দেখা হয় এবং তা নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফলের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। অডিট কার্ডের ফলাফল এবং ঘোষিত ফলাফল একই পাওয়া যায়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইসির কাছে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। তার মধ্যে অকেজো হয়ে আছে অনেকগুলো। বাকি ইভিএম দিয়ে ৬০-৭০টি আসনে ভোট করা যাবে। ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণ করতে আরও ২ লাখ ইভিএমের দরকার।

এসএইচ-১৪/০৬/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)