‘কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে অবৈধ পথে ভারতীয় পশু আনা যাবে না’

ঈদুল আজহা উপলক্ষে অবৈধ পথে কোনভাবেই ভারত থেকে কুরবানির পশু আনা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী আরও বলেন, অবৈধ পথে পশুর প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এ বছরও রেলপথে কুরবানির পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী জানান, ঈদুল আজহায় কুরবানির জন্য ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৯টি পশু দরকার।

এই মুহূর্তে কুরবানির জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি পশু রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এ বছর কুরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, যা গতবছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এ বছর কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।

তিনি জানান, এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় সরকার ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল আদায় করতে পাবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়কের ওপরে যত্রতত্র কুরবানির পশু জবাই না করে যথাসম্ভব নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করার জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিগত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে প্রতারণা রোধে অনলাইনে আপলোড করা পশুর মালিকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, পশুর বয়স, ওজন, মূল্য ও ছবি সংযোজন করতে হবে।

এসএইচ-১৬/১৪/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)