বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে ২০১৩ সালের পরিণতি হবে : কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি একটানা আন্দোলন সংগ্রাম করছে। একই দাবি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা পালাবার পথ পাবে না- এই একই কথ বারবার বলছে। বলছে, শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের ২০১৩ সালের পরিণতি হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, হেফাজতে ইসলাম নিয়েও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিষ্ট, বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। সেই আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপী ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আরেকটি রেজুলেশন তারা নিয়েছে। আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নাই, কথা বলার অধিকার নাই, মানবাধিকার হুমকির মুখে।

মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই- এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদেরকে নিরাপত্তা দেয় নাই, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নাই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকবো না।

তিনি বলেন, এ দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান,গারো চাকমা, প্রতিটি মানুষের, এই সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি থাকে। নাগরিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে হেফাজত সমাবেশ করেছিল। আমি সেদিন খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। খুব কাছে থেকে দেখেছ, তাদেরকে খুব অনুরোধ করেছিলাম সমাবেশ শেষ করতে,সন্ধ্যার দিকে সরকারের কাছে খবর আসলো তারা সমাবেশ থেকে উঠে যাবে না। রাতের মধ্যে তারা গণভবন ঘেরাও করে, সচিবালক ঘেরাও করে, তারা সরকারের পতন ঘটাবে। রাত আটটার দিকে কি দেখেছিলাম? খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে জানালো বিএনপির নেতারা হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে। এরশাদ ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি নিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ালেন। খাবার নিয়ে দাঁড়ালেন। সারা দেশ আতঙ্কগ্রস্ত। গণভবন ঘেরাও হবে কি না? সচিবালয় ঘেরাও হবে কি না? হেফাজতের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? নাকি বিএনপির কাছে দেবে ক্ষমতা। এমন এক পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই, রাত তিনটার মধ্যে শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিল ঢাকা মহানগরের নেতারা। হেফাজতের সেই সমাবেশে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে- এর চাইতে বড় মিথ্যাচার আর কী হতে পারে? সে মিথ্যাবাদী যদি বিচার হয় আইনে, সেটা কি অন্যায়?

এআর-০৫/১৫/০৯ (জাতীয় ডেস্ক)