নাটোরে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

নাটোরের বড়াইগ্রামে হালিমা খাতুন (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মধ্যরাতে বড়াইগ্রামের গারফা এলাকায় একটি বটগাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে। স্থানীয় গারফা দাখিল মাদরাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী মুসা দেওয়ানের ছেলে লাদেন দেওয়ান (১৮) হালিমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে।

গভীর রাতে জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে বিলের মধ্যে বটগাছে হালিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। এরপর সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এদিকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মরদেহের নিম্নাঙ্গে ক্ষত ও রক্ত দেখা গেছে। তার বাবা অভিযোগ করেন, লাদেনই তার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে।

কিন্তু পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। তিনি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করবেন।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, এক যুবকের সঙ্গে হালিমার সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএ-০৩/০৪-১১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)