নাটোরে দেড় শতাধিক চিকিৎসাকেন্দ্র সিলগালা

নাটোরের লালপুরে কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য। দীর্ঘদিন ধরে টোটকা চিকিৎসার নামে গ্রামটিতে বেশ কিছু কেন্দ্র গড়ে ওঠে। জেলা প্রশাসনের অভিযানে দেড় শতাধিক অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্র সিলগালা করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি । অপচিকিৎসায় আবারো চালু করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে লালপুর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় শতাধিক টোটকা চিকিৎসা কেদ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে কয়েক হাজার রোগী ও দেড় শতাধিক টোটকা চিকিৎসক গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে টোটকা চিকিৎসার নামে গ্রামটিতে বেশ কিছু কেন্দ্র গড়ে ওঠে। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা।

হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসার নামে টোটকা চিকিৎসকরা মানুষকে অপচিকৎসা দিয়ে আসছিলো বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

নাটোর সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা হাঁড় ভাঙা চিকিৎসার নামে বিভিন্ন ধরণের অপচিকিৎসা দিচ্ছে এবং এর পরিণতিতে মানুষ অনেক ভোগান্তিতে পড়ছে।’

প্রায় ৩৫ বছর ধরে এদিকে বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পুনরায় চালু না করতে পারে সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘কবিরাজগিরি করে যাতে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে তার জন্য আমরা ব্যাপক ব্যবস্থা নিচ্ছি। যদি কেউ করে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করব। আমরা এখন থেকে নাটোরকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখব।

গ্রামের শতাধিক বাড়িতে হাসপাতালের আদলে গড়ে তোলা হয়েছিল অবৈধ চিকিৎসা কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে দেড় হাজার রোগী ভর্তির ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া আউটডোরেও প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসতেন।

এসএইচ-২৭/০৭/২১ (উত্তরাঞ্চলে ডেস্ক)