নাটোরে পাখির হাটবাজার!

নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া হাটে পয়রার পাশাপাশি বিদেশি পাখি কিনতে আসছেন দেশের বিভিন্ন জেলার সৌখিন খামারিরা।

পায়রা ও পাখির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাটোর জেলায় প্রায় ৮০০ পায়রা ও ১৫০ পাখির খামার গড়ে উঠেছে। আর প্রতি মাসে প্রায় ৯০ লাখ টাকার পায়রা ও বিদেশি পাখি বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার পায়রা খামারি আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতি রোববার নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া হাটে পায়রা হাট বসে। হাটটিতে কলো বিউটি, লক্কা, সিরাজি কিং, হুমা, ফিলব্যাক, নূরবাগসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ৬৫টি জাতের পায়রা উঠে। পায়রা কিনতে রাজধানীসহ ২৩টি জেলার ক্রেতারা পায়রা কিনেন এখান থেকে।

২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি জোড়া পায়রা বিক্রি হয় এখানে। প্রতি হাটে গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার পায়রা বিক্রি হয়। আর প্রতি হাটে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার পায়রা বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।

পাখির খামারি সুমন জানান, এখানে লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ফিন্সসহ প্রায় ১৫ ধরনের বিদেশি পাখি বিক্রি হয়। ৩০০ থেকে ৮ হাজার টাকা জোড়ার পাখি পাওয়া যায় হাটটিতে। প্রতি হাটে গড়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকার পাখি বিক্রি হয়।

নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, নাটোর জেলায় প্রায় ৮০০টি পায়রার খামার ও প্রায় ১৫০টি পাখির খামার রয়েছে। এই খামারিরা প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ পায়রা ও বিদেশি পাখি বিক্রি করেন।

৭টি উপজেলা থেকে খামারিদের পায়রা ও পাখি পালনের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

এসএইচ-১৮/২৩/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)