ধর্ষণের পর শিশুহত্যা, ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা

নাটোরের লালপুরে নিখোঁজের চারদিন পর সাত বছরের শিশু জেমির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ বছর বয়সী প্রতিবেশী কিশোর ইমনকে আটক করে।

একমাত্র সন্তান জেমিকে হারিয়ে শোকে দিশেহারা বাবা-মা। স্বজনদের আর্তনাদে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। আর এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে লালপুর উপজেলায় আব্দুলপুর গ্রামে দাদা মোস্তফাকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হয় জেমি। এসময় প্রতিবেশী বখাটে কিশোর ইমনের বাসায় কেউ না থাকায় সে জেমিকে তাদের বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে। পরে জেমিকে হত্যা করে লাশ টয়লেটের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

একপর্যায়ে পলিথিনে মুড়িয়ে মৃতদেহ ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। ইমনের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরলে ভয়ে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। পরে ইমনের পরিবার পুলিশকে খবর দিলে তাকে আটক করা হয়।

অভিযুক্ত ইমনের মা আকতারা বেগম জানায়, আমার ছেলে আমার কাছে এসব কথা বলেছে, তার বাপের কাছে বলেছে। তখন আমি মেম্বারকে ডেকে এনে তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছি।

এদিকে ঘটনায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেমির স্বজন ও এলাকাবাসী। এমন ঘটনা যেন আর কারো সন্তানের সঙ্গে না হয় আহাজারি করে এমন কথা জানান জেমির মা প্রিয়া বেগম।

প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে জানিয়ে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কমার সাহা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে এনেছি। আমাদের চারটা টিম কাজ করছে। খুব দ্রুতই তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

নিহত জেমি লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

এসএইচ-৩৩/২৩/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)