সুবর্ণজয়ন্তীতে উত্তরা গণভবনে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক চান নাটোরবাসী

৯ ফেব্রুয়ারি অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাসভবনখ্যাত উত্তরা গণভবনের সুবর্ণজয়ন্তী। করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটোর উত্তরা গণভবনের ৫০ বছর পূর্তিতে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করছে স্থানীয় প্রশাসন।

তবে সুবর্ণজয়ন্তীতে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সচেতন নাগরিক সমাজ। তবে আগামীতে উত্তরা গণভবনে মন্ত্রী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মুক্তিযোদ্ধা ও গণমাধ্যমকর্মী নবীউর রহমান পিপলু জানান, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে উত্তরা গণভবনে এসেছিলেন। তখন তিনি এখানে বিরল প্রজাতির হৈমন্তী বৃক্ষ রোপন করেন। সেই বৃক্ষের ফুল মার্চ মাসের দিকে এখনও সুবাস ছড়ায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে উত্তরা গণভবনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আমরা দাবি জানিয়েছি কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া বা সিদ্ধান্ত আসেনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, পূর্বে উত্তরাগণভনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতি বিজড়িত দৃষ্টিনন্দন উত্তরা গণভবনে অতীতের ধারাবাহিকতায় আবারো মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক এমনটাই দাবি জানাচ্ছি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, করোনার কারণে সীমিত পরিসরে উত্তরা গণভবনের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত উত্তরা গণভবনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও যাতে মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক হয় এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

এসএইচ-১৯/০৮/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)