বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেতার দিবস উদযাপন

রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক রাজশাহী বেতারের আঞ্চলিক কার্যালয়ে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বিশ্ব বেতার দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বিশ্ব বেতার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বেতার ও শান্তি’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই বেতার দিবস উদযাপন কর্মসূচি শুরু হয়।

উদ্বোধন শেষে রাজশাহী বেতারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঘোষক, শিল্পী, কলাকুশলী ও শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বেতার ভবন থেকে শুরু হয়ে সিঅ্যান্ডবি মোড় ঘুরে পুনরায় বেতার ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর বেতার ভবন চত্বরে বেতার দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগেও বেতার স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শান্তির বার্তা নিয়ে। এজন্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বস্ত গণমাধ্যম হিসেবে বেতার গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, ১৯৬৩ সাল থেকে আমি রাজশাহী বেতারের সঙ্গে কাজ করছি। বেতারের অবদান আমাদের জাতীয় জীবনে বলে শেষ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ যেকোনো দুর্যোগময় সময়ে বার্তা পাঠাতে বেতারের অবদান অপরিসীম।

প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক বলেন, আজকের প্রতিপাদ্যে বলা হয়েছে ‘বেতার ও শান্তি’ এ শান্তি শব্দটা বার বার উচ্চারিত হওয়া দরকার। পৃথিবীতে শান্তি উঠে যাচ্ছে বললেই চলে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। কাজে আমরা শান্তির কথাটা বার বার বলি এবং আজকের এ আধুনিক বেতারের মাধ্যমে এর বার্তা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেই। এ সময় তিনি বেতারকে বাঁচিয়ে রাখার এবং আরও সমৃদ্ধ করার আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেতারের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শেষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে রাজশাহীর সৌখিন যাত্রা গোষ্ঠীর সদস্যদের অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক যাত্রাপালা ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক মো. হাসান আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান বাদশা, ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মোসাম্মত উম্মে কুলসুম।

অনুষ্ঠানে বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এলএস-০১/১৩/০২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)