তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠিকে মুলস্রোতধারায় আনতে সভা

তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন, সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা ও তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজের মুলস্রোতধারায় নিয়ে আসতে পর্যন্ত রাজশাহীর গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার থেকে দুপুরে দিনের আলো হিজড়া সংঘের অফিস হলরুমে অত্র সংস্থার আয়োজনে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা শ্যামল কুমার ঘোষ ও সিনিয়র সাংবাদিক ও দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা শরীফ সুমন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাজশাহী প্রতিনিধি কাজী শাহেদ ও জনকণ্ঠের প্রতিনিধি মামুনুর রিশদ মামুন।

দাতা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রকল্পের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী আশফিয়া আলম এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন দিনের আলো হিজড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক জয়িতা পলি, কোষাধ্যক্ষ জুলি, প্রোগ্রাম অফিসার রায়হানুল হক রায়হান, কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদসহ ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালের গণমাধ্যমকর্মীসহ তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠির অন্যান্য সদস্যগণ।

তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠির উন্নয়ন ও সমাজে পরিচিত করে তুলতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসিম উল্লেখ করে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগণ আর অবহেলার পাত্র নয়। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই জনগোষ্ঠির উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। শুধু তাইনয় কর্পোরেট কোম্পানী গুলো যদি তৃতীয় লিঙ্গের জনগণকে চাকরী দেয় তাহলে ঐ কোম্পানী আয়কর দেয়াতে বিশেষ ছাড় পাবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগণ পিতার সম্পদে অংশিদারিত্ব পেয়েছে। বিধায় এখন আর পিছিয়ে পড়া নয়। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে মুলস্রোতধারার সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে। অনেক ছোটবেলা থেকে পরিবার থেকে আলাদা হওয়া জনগণ একটুতো রাগান্বিত হবেই। কারন তারা সভ্য হওয়ার জন্য পরামর্শ পায়নি। লেখাপড়া শিখতে পারেনি। একমুঠো খাবার ও একটু আশ্রয়ের জন্য তারা গুরুর নিকট ঠাঁই নিয়েছে। আর এই গুরু তাদের ব্যবহার করেছে, এখনো করছে। গুরুরা কাটিপতি হলেও তারা সেই স্থানেই রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন অতিথিবৃন্দ। এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে এসে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তৃতীয় লিঙ্গের জনগনের প্রতি আহ্বান জানান তারা। সাংবাদিকরা সর্বদা সকল ভালো কাজের সাথে আছেন বলে উল্লেখ করেন অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকরা।

সভাপতি মোহনা বলেন, কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে তাদের সাথে কাজ করতে হবে। লেখাপড়া শিখে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে হবে। সেইসাথে তৃতীয় লিঙ্গের জনগণের প্রতি বিরুপ নয়, সহানুভূতিশীল হয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ কওে তাদেও ভাগ্যান্নোয়নে সহযোগিতা করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি।

এলএস-০১/১৬/০২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)