রাজশাহীতে নবজাতক চুরির দায়ে দম্পতির কারাদণ্ড

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির দায়ে এক দম্পতিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আয়েজ উদ্দিন এ রায় দেন।

রায়ে মামলার প্রধান আসামি মৌসুমী বেগমকে (২৬) ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তাঁর স্বামী সজীব আহাম্মেদকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ দম্পতির বাড়ি রাজশাহী নগরের তালাইমারী পানির ট্যাংক এলাকায়। জামিনে মুক্ত থাকা এই দম্পতি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পরে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে হাসপাতালের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেয়ে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। ওই নবজাতকের মায়ের নাম শিল্পী রানী দাস ওরফে কমলি। বাবার নাম মাসুম রবি দাশ। রাজশাহী নগরের আইডি বাগানপাড়া এলাকায় তাঁদের বাড়ি। চুরির তিন দিন আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়। এটি তাঁদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর থেকেই শিশুটিকে চুরির উদ্দেশ্যে মৌসুমী বেগম হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে অন্য রোগীর স্বজন হিসেবে যাতায়াত শুরু করেন। চুরির সময় শিশুটির মা তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। তখন মৌসুমী শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। সঙ্গে সঙ্গে শিল্পী রানী বিষয়টি টের পেয়ে বলতে থাকেন, ‘বাচ্চা নেবেন না, বাচ্চা নেবেন না’। এরই মধ্যে মৌসুমী বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালের বাইরে চলে যান। পরে বাইরে গিয়ে শিল্পী আর মৌসুমীর নাগাল পাননি।

এ ঘটনায় কন্যাশিশুর বাবা মাসুম রবি দাশ নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এরপর গত ২৩ জানুয়ারি পুলিশ সজীব ও মৌসুমী দম্পতির দখল থেকে শিশুটি উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। মামলার তদন্ত শেষে একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর নগরের রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক মো. আবু হায়দার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

এআর-০৬/০৫/০৪ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)