কাজ শুরু করলেন টিটিই শফিকুল

অবশেষে কাজ শুরু করলেন রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে জরিমানা আদায়ের জন্য বরখাস্ত হওয়া ঈশ্বরদী স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম।

বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন হয়ে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন তিনি।

সোমবার পুনর্বহালের অফিস আদেশ পান তিনি। দুপুর ১২টায় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক কার্যালয়ে স্বপদে যোগদানের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর ঈশ্বরদী হেডকোয়ার্টারের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম ট্রেনে টিকিট চেকিং করার অনুমতি পান।

টিটিই শফিকুল বলেন, আমি কৃতজ্ঞ, আমার বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমি আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে অতীতের মতো আগামী দিনেও দায়িত্ব পালন করব।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঈশ্বরদী হেডকোয়ার্টারের ভারপ্রাপ্ত টিটিই পরিদর্শক বরকতুল্লাহ আলামিনের কাছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অফিস থেকে দেওয়া কন্ট্রোল অর্ডার (নং ২৮৬, তাং ৮ মে-২০২২) দেওয়া হয়।

সোমবার সকালে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন টিটিই অফিসে উপস্থিত হয়ে যোগদানের আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে পুনরায় দায়িত্ব কাঁধে পড়েছে শফিকুল ইসলামের।

রেলপথমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলামকে রোববার দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম আদেশ দেন। এদিকে ওই ঘটনার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত টিটিই পরিদর্শক বরকতউল্লাহ আল-আমিনের মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

প্রসঙ্গত, ৫ মে দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুম ওঠেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের দায়ে জরিমানা করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। এ ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে গণমধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সমালোচনার মুখে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ওই তিনজনের সঙ্গে তার আত্মীয়তার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন তারা স্ত্রীর পক্ষের আত্মীয়।

এসএইচ-১৫/১০/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)