ঈশ্বরদী উপকেন্দ্রে ত্রুটিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

পাবনার ঈশ্বরদী ২৩০/১৩২ উপকেন্দ্রে ত্রুটির কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা তদন্তে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রধান প্রকৌশলী (সিস্টেম অপারেশন) বি এম মিজানুল হাসানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী দুইদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিজিসিবির একজন কর্মকর্তা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বেশ কিছু এলাকা। ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না এসব এলাকায়। তবে দুপুরের আগেই তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।

পিজিসিবির কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪ মিনিটে একটি সঞ্চালন লাইন ‘ট্রিপ করলে’ এই সমস্যা তৈরি হয়। এ কারণে বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী জোন এবং বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ধাপে ধাপে সব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

তিনি জানান, মেরামত শুরু হওয়ার পর ৯টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীতে, ১০টা ১০মিনিটে খুলনায় এবং ১০টা ৩০ মিনিটে বরিশালে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ঠিক কোথায় এবং কী ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয়েছিল, তা খোঁজার জন্যই চার সদস্যের এই কমিটি করা হয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।

একই কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল পায়রার কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা জানান, ঠিক ৯টা ৪ মিনিটে কেন্দ্র বন্ধ করতে আমরা বাধ্য হই। এরপর ১১টা নাগাদ আবার চালু করা হয়। সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করায় কেন্দ্র বন্ধ করা ছাড়া উপায় ছিল না।

এদিকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানির (ওজোপাডিকো) এক কর্মকর্তা জানান, সঞ্চালন লাইন থেকে ট্রিপ করার পর ওজোপাডিকোর অধীন পুরো এলাকা ঘণ্টাখানেক বিদ্যুৎহীন ছিল। এখন বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে এসেছে। হঠাৎ করে অনেক বড় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিলেও এখন সব স্বাভাবিক।

এসএইচ-১৮/০৬/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)