রাজশাহীতে অ্যালকোহল পানে সাংবাদিকসহ ২ জনের মৃত্যু

রাজশাহীর বাঘায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে সাংবাদিকসহ দুজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তারা।

অভিযোগ উঠেছে, তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত হোমিও চিকিৎসককে আটক করে পুলিশ।

মৃতরা হলেন-দৈনিক যায়যায়দিনের বাঘা প্রতিনিধি সেলিম ভান্ডারী (৩৪) ও উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের ইলেকট্রিশিয়ান রনি কুমার (৩২)।

সাংবাদিক সেলিম ভান্ডারী উপজেলার মনিগ্রামের মৃত সামসুল হক ভান্ডারীর ছেলে। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় তার মরদেহ দাফন করা হয়।

আর রনি কুমার মনিগ্রামের আটঘরিয়া গ্রামের সূর্য কুমারের ছেলে। টের না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ সৎকার করে স্বজনরা।

পুলিশ ও পরিবার বলছে, এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে মনিগ্রাম বাজারের হোমিও চিকিৎসক মাসিদুল করিম তাদের অ্যালকোহল পান করান। এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তারা। ওই রাতেই প্রথমে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়।

পরে তাদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীণ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে রনি এবং ওই তিন রাত ১১টার দিকে সেলিম ভান্ডারী মারা যান।

বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই দুজন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে নিরাময় হোমিও হলে যান তিনি। এসময় সেখানে রাখা বেশকিছু ওষুধের বোতলের গায়ে উৎপাদন মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ ছিলোনা। এই অভিযোগে দোকানটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, অভিযুক্ত হোমিও চিকিৎসক মাসিদুল কারিমকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

বিএ-১১/০১-০২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)