সংস্কারকাজ শেষে কামারুজ্জামান মিলনায়তন বুঝিয়ে দিল রাসিক

সংস্কারকাজ শেষে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তন আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

সোমবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়র তার দপ্তরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে মিলনায়তনটি বুঝিয়ে দেন।

এ সময় মেয়র বলেন, তিনি মনে করেন শহরের ভেতরের সব প্রতিষ্ঠানই সিটি করপোরেশনের। এগুলোর সৌন্দর্য বর্দ্ধন এবং রক্ষণাবেক্ষণ তার দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে। এ জন্য তিনি জেলা পরিষদের মিলনায়তনটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই কাজ শেষ করতে পেরে ভাল লাগছে।

মনিবাজারে অবস্থিত এই মিলনায়তনটি ‘শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়ন’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। সেটি উল্লেখ করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, এটির দেখভাল এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শহিদপূত্র ও মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনেরই।

রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক মিলনায়তন সংস্কার প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রথমবার দায়িত্বে থাকাকালে মিলনায়তনটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

২০১১ সালের ৮ মে মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশনকে ১২৯টি প্রকল্পে ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে তিন কোটি ২৩ লাখ টাকা ছিল মিলনায়তন সংস্কার।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনটি রাসিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ করে সংস্কার শুরু করে রাসিক।

কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এবং সাউন্ড সিস্টেমের জন্য এক কোটি টাকার অভাব দেখা দেয়। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনে আরেকজন মেয়র হিসেবে এলে মিলনায়তনটির সংস্কার কাজ থেমে যায়। এরপর দীর্ঘ দিন আর কাজ হয়নি। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর আবার কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেন। এরপরই মিলনায়তনটির সংস্কার কাজ শেষ হলো।

প্রধান প্রকৌশলী বলেন, তিন কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দের বাইরে ৬০০ চেয়ার বসাতে সিটি করপোরেশন আরও ৫৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা খরচ করেছে। এই মুহুর্তে আর ২৫-৩০ লাখ টাকার কাজ করলে এটিই হবে রাজশাহীর সবচেয়ে আধুনিক মিলনায়তন। তবে গত ১ মার্চ থেকে মিলনায়তনটিতে আবার নানা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এটি ভাড়া দিয়ে জেলা পরিষদের আয় বাড়বে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাওগাতুল আলম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নাঈমুল হুদা রানা, প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নারগিস আক্তার প্রমুখ।

বিএ-০৯/১২-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)