রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু রোববার

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজশাহীতে শুরু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংষ্কৃতিক উৎসব-২০১৯’। রোববার সকাল ১০টায় মেয়র লিটনের সভাপতিত্বে নগর ভবনের গ্রিণপ্লাজায় এর আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান। বর্ণিল সব আয়োজনের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে সবান্ধবে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মেয়র লিটন।

আয়োজক সংগঠন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। উৎসবে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

উৎসব উপলক্ষে রোববার সকাল সাড়ে আটটায় আলুপট্টি বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, আদিবাসী, খেলোয়াড়, বিএনসিসি, স্কাউটস ও গার্লস গাইড, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, নৃত্যদল, সমাজের অন্যান্য প্রতিনিধি, স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ অংশগ্রহণ করবে। এরপর নগরভবনের গ্রীন প্লাজায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, জাতীয় সঙ্গীত ও গণসঙ্গীত পরিবেশিত হবে। সকাল ১০টায় বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।

সভাপতিত্ব করবেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেবেন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য গুনী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

১ম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল ৫টায় গ্রীনপ্লাজায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন ১৮ মার্চ সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত গ্রীনপ্লাজায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টায় সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, বারোসিয়া ও গম্ভীরা পরিবেশিত হবে।
উৎসবের তৃতীয় দিন ১৯ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা এবং বিকেল ৫টায় থেকে নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, বিষয় ভিত্তিক বক্তৃতা, স্বরচিত কবিতা, কবিতা আবৃত্তি ও লালন গীতি পরিবেশিত হবে।

চতুর্থ দিন ২০ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং বিকেল ৫ টা থেকে পঞ্চকবির গান, বিষয় ভিত্তিক বক্তৃতা, স্বরচিত কবিতা, গম্ভীরা ও লোকগীতির আয়োজন করা হয়েছে।

উৎসবের পঞ্চম দিন ২১ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় অভিনয় প্রতিযোগিতা এবং বিকেল ৫ টা থেকে গণসঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, আলকাপ ও গম্ভীরা পরিবেশিত হবে।

উৎসবের ৬ষ্ঠ দিন ২২ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় নৃত্য প্রতিযোগিতা এবং বিকেল ৫ টা থেকে সঙ্গীত, আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা, লোকসঙ্গীত ও নাটক অনুষ্ঠিত হবে।

২৩ মার্চ উৎসবের ৭ম দিনে সকাল ১০ টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ প্রতিযোগিতা, বিকেল ৫ টা থেকে সঙ্গীত, বিষয় ভিত্তিক বক্তৃতা, আবৃত্তি, পথ নাটক, গীতি আলেখ্য ও সংযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

উৎসবের ৮ম দিন ২৪ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং বিকেল ৫ টা থেকে সঙ্গীত, বিষয় ভিত্তিক বক্তৃতা, আদিবাসী নৃত্য, মনিপুরীনৃত্য, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এর উপর নির্মিত ডকুমেনটারি প্রদর্শন ও ভাওয়াইয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

উৎসবের ৯ম দিন ২৫ মার্চ সকাল ১০ টায় গ্রিনপ্লাজায় ‘গণহত্যা এবং ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী; অনুষ্ঠিত হবে এবং বিকেলে সঙ্গীত, শহীদ পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলোচনা, ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মাইম, স্বরচিত কবিতা, আবৃত্তি, গম্ভীরা ও নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হবে।

উৎসবের শেষ দিন ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা দিবসে গণহত্যা এবং ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী এবং বিকেল ৫ টা স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান এবং একক নৃত্য পরিবেশিত হবে। সন্ধ্যার পর জমকালো আতশবাজির মধ্য দিয়ে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের পর্দা নামবে।

বিএ-১৭/১৬-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)