রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু অপশক্তি তাকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ায় রুদ্ধ হয়ে পড়ে অগ্রযাত্রা।

রোববার রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তিনি। রাজশাহী সিটি ভবনের গ্রীণপ্লাজায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. আতিয়ার রহমান।

তিনি বলেন, সুবিবেচনাভিত্তিক কৃষি ও শিল্প নীতির আলোকে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে নিচ্ছিলেন দেশ। পঁচাত্তরের পর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথ থেকে সরে এসেছিলাম আমরা। বহু সংগ্রাম ও ত্যাগের পর জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারায় ফিরে এসেছে দেশ।

দারিদ্র্য, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্রের অভাব এবং দক্ষ জনসম্পদের ঘাটতিকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বড় চ্যালেঞ্জ মরে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, নানান প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতি একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন হবে।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের স্বপ্ন দেখছি আমরা। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা গেলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। আর এ জন্য সামাজিক-রাজনৈতিক এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.আবদুল খালেক, নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার নুর উর রহমান, আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন।

এর আগে নগরীর কুমারপাড়া মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে ওই শোভা নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় গিয়ে শেষ হয়। এতে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন।

পরে ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংষ্কৃতিক উৎসব ও বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। ওই অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপুকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

১ম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিচ্ছে। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত নানা আয়োজন রয়েছে উৎসবে।

বিএ-০৭/১৭-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)