রাজশাহীতে পর্দা নামলো বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসবের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হেয়ে গেলো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সংস্কৃতিক উৎসব। মঙ্গলবার রাতে ১০ দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের পর্দা নেমেছে।

নগর ভবন চত্বরে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উৎসবের সমাপনী দিনে ছিল গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী, স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, নৃত্য ও সঙ্গীত।

সমাপনী দিনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন বলেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন হবে। এই উদ্যাপনের প্রস্তুতি হিসেবে ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। আগামীতে আবারো এ উৎসব উদযাপন করা হবে। তাছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপীই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে রাজনীতির পরোম্পরায় সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তার চার সহচরকে হত্যা করা হয়েছে।

গণহত্যা নিয়ে যদি রাজনীতি না হতো, তাহলে হয়তো তাদের শহীদ হতে হতো না। গণহত্যার রাজনীতি এই মানুষগুলোকে বাঁচতে দেয়নি। বাংলাদেশে ধর্মের নামে যত মানুষ হত্যা হয়েছে, পৃথিবীতে আর কোন জাতিতে এমন হয়নি। আমরা এমন এটা জাতি যারা, যারা গণহত্যার রাজনীতিকে উৎসাহ দিয়েছি।

উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরেক সম্মানিত অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক ও সদস্য সচিব কবি আরিফুল হক কুমার।

আলোচনা সভা শেষে উৎসব চলাকালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে এদিন সকালে গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।

উৎসবে রবীন্দ্র, নজরুল, বাউল ও আধুনিকসহ বিভিন্ন গান, আবৃত্তি, নৃত্য, গম্ভীরা, বারোসিয়া, আলকাপ, পথনাটক, গীতি আলেখ্য, সংযাত্রাসহ নানা মনোমুগ্ধকর আয়োজন ছিল। উৎসবে তৈরি হয়েছিল সাহিত্য ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন।

বিএ-২৩/২৭-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)