সমকামিতায় বাধ্য করায় খুন হয় শ্রমিক নেতা নূরুল

সমকামিতায় বাধ্য করায় খুন হয়েছেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলাম (৫৫)। ক্ষোভ থেকেই গত ১০ জুন রাতে কিশোর সঙ্গি ইট উপর্যপুরি ইটের আঘাটে খুন করেন এই বৃদ্ধকে।

১১ জুন সকালে উপজেলার কাঠালবাড়ীয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নূরুল ইসলাম উপজেলার ধোপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত জীবন (১৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জীবন উপজেলার রামজীবনপুর এলাকার জিয়ারুল হকের ছেলে। জবানবন্দি নেয়ার পর ওই কিশোরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে, নিহত নূরুল ইসলাম রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ছিলেন। জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতিও ছিলেন নূরুল ইসলাম।

ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে পরিকল্পিত হত্যার দাবি করছিলো পরিবার। এনিয়ে থানায় হত্যা মামলাও দায়ের হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম গণমাধ্যমকে জানান, শুরু থেকেই মামলাটি তদন্ত করছিলো জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত জীবনকে। সোমবার বিকেলে ওই কিশোর আদালতে সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জবানবন্দিতে ওই কিশোর জানায়, শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলামকে প্রতিবেশী ওই কিশোর নানা সম্বোধন করত।

অর্থের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়েছেন ওই শ্রমিক নেতা। অনিচ্ছা প্রকাশ করলে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

পুলিশকে ওই কিশোর জানায়, ১০ জুন দিবাগত রাত ৯টার দিকে তাকে কাঠালবাড়িয়ার ওই ইটভাটায় যান নূরুল ইসলাম। সমকামিতায় লিপ্ত অবস্থায় পড়ে যান ওই বৃদ্ধ।

ওই সময় ওই কিশোর প্রথমে বৃদ্ধের গলা টিপে ধরে। এরপর ইট দিয়ে মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করে অচেতন দেহ ফেলে রেখে যায়।

এলাকার আরো কয়েকজনের সাথেও সমকামিতায় লিপ্ত হতেন ওই শ্রমিক নেতা। এদের তিন জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিএ-১৭/১৮-০৬ (নিজস্ব প্রতিবেদক)