রাজশাহীকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে কোটি টাকার তহবিল

রাজশাহীকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে প্রায় সোয়া কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন থেকে ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৪৭৬ টাকা সংগ্রহ হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরও ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৪৭৬ টাকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়ার কথা। বরাদ্দ পেলে এই তহবিল গিয়ে দাঁড়াবে এক কোটি ১৭ লাখ ৬ হাজার ৯৫২ টাকায়। এই অর্থ খরচ হবে এখানকার ৩ হাজার ১৫০ জন ভিক্ষুকের পুনর্বাসনে।

কথা ছিল, গত বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই ভিক্ষুকমুক্ত হবে রাজশাহী। আর এরই আলোকে গত বছরের ১১ নভেম্বর জেলায় ভিক্ষুকমুক্তকরণ সভায় নেয়া হয় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। এরই প্রেক্ষিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার তহবিল গঠন হয়। কিন্তু এখনও শুরু হয়নি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাস-ট্রেনসহ বিভিন্ন গণপরিবহনে বহিরাগত ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তির জন্য রাজশাহীতে আসছেন। এই প্রবাহ থামছে না। আর এ কারণেই দিনে দিনে বাড়ছে ভিক্ষুক সংখ্যা।

সিদ্ধান্ত ছিল, বিশেষত রাজশাহী শহরে বহিরাগত ভিক্ষুকের প্রবেশ ঠেকানো। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। তবে রাজশাহীর ভিক্ষুকমুক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে রাজশাহী নগর এলাকা থেকেই। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ছোট ছোট প্রকল্প নিয়ে ভিক্ষুকদের সম্পৃক্ত করারও কথা ছিল। কিন্তু এসব প্রকল্প এখনও দেখেনি আলোর মুখ।

বিশেষ ওই সভায় জানানো হয়, জেলায় ৫ হাজার ৭৮১ জন ভিক্ষুকের মধ্যে বিভিন্ন সময় পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয় এক হাজার ৮৭১ জনকে। বাকি ৩ হাজার ৯১০ জনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরুর কথা ছিল বৈঠকের পর।

তবে অচিরেই রাজশাহীতে ভিক্ষুকমুক্তকরণ কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে অর্থ আছে তার সমপরিমাণ অর্থ আমরা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চাচ্ছি। শিগগিরই এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে। অর্থ পেলেই শুরু হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক ধরনেরই ভিক্ষুক আছেন। এদের মধ্যে যাদের পুনর্বাসন করা যাবে তাদেরই কেবল পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। সবাই পুনর্বাসিত হবেন এটি বলা যায় না। ওই কার্যক্রমের আওতায় এসেও যারা পুনর্বাসিত হবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএ-১০/২৯-০৬ (নিজস্ব প্রতিবেদক)