রাজশাহীতে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

রাজশাহীর মোহনপুরে গৃহবধূ আসমা বেগমকে (৪৫) ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাতে জেলার তানোর উপজেলার কামারপাড়া থেকে আমজাদ হোসেন (৫০) নামের এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আমজাদ হোসেন দমদমা হাটরা এলাকার খোদা বক্সের ছেলে। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাকে আদালতে তোলে পুলিশ।

অভিযুক্তের দেয়া দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই মোহনপুরের উষায়ের হাটরা বিলে মাটিতে পুতে রাখা হাসুয়া উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২১ জুন দিবাগত রাতে এই বিলেই আসমা বেগমকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন এনিয়ে নিহতের ছেলে মাসুদ রানা বাদি অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে উপজেলার রায়ঘাটি গ্রামের মৃত ভাদু মন্ডলের ছেলে শামছুদ্দিন (৫০) ও হারিদা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামকে (৫১) গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আমজাদ হোসেন ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার দায় স্বিকার করেছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া জব্দ করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে নেয়া হয়েছে।

আমজাদ হোসেনের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, নিহত গৃহবধূর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। কিন্তু টাকা পরিশোধ করছিলেননা তিনি। প্রায় টাকা পরিশোধের জন্য ওই গৃহবধূ আমজাদ হোসেনকে চাপ দিতেন। এনিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও বিষয়টি নিস্পতি হয়নি।

সর্বশেষ ২১ জুন ওই টাকা পরিশোধের কথা ছিলো আমজাদের। ওই দিন রাতে কৌশলে ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে হাটরা বিলে ডেকে নেন অভিযুক্ত। পরে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যান। দ্বিতীয় বিয়ের পর নিহত আসমা বেগম উষারের হাটরা গ্রামে বাবা মফিজ উদ্দিনের বাড়িতেই থাকতেন।

বিএ-০৪/০৪-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক )