রাজশাহীতে ওসির এজাহার পাল্টানোর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দেয়ার অভিযোগ ছিলো থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিহত নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানার করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে হাইকোর্টে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, গত ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এজাহার বদলে দিলেন ওসি’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকের প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন নিগার সুলতানা।

এর প্রেক্ষিতে আদালত বলেন, একজন ওসির বিরুদ্ধে যদি এই অভিযোগ উঠে তাহলে সাধারণ জনগণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এর পরই এই আদেশ দেন আদালত।

গত ১১ জুন পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

উপজেলার ধোপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নূরুল ইসলাম রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ছিলেন। জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতিও ছিলেন নূরুল ইসলাম।

শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে পরিকল্পিত হত্যার দাবি করে আসছে পরিবার। এনিয়ে থানায় হত্যা মামলাও দায়ের হয়।

জেলা পুলিশের দাবি, শ্রমিক ইউনিয়নের বিরোধ নয়, সমকামিতায় বাধ্য করায় খুন হয়েছেন নূরুল ইসলাম। এ ঘটনায় জীবন (১৬) নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। ওই কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।

তবে নিহত নুরুলের মেয়ে নিগার সুলতানার অভিযোগ, পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদ মামলার এজাহার বদলে দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি ওসির বিরুদ্ধে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এদিকে, বিতর্কিত নানান কর্মকান্ডের অভিযোগে গত শনিবার থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ওসি সাকিল উদ্দিনকে। বছরখানেক এই থানায় দায়িত্বপালন করেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় এমপি সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের আপন ভাই তিনি। এই প্রভাবে এলাকায় নানান অপকর্মে জানান এই ওসি। এনিয়ে পরে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।

বিএ-১০/১৬-০৯ (নিজস্ব প্রতিবেদক)