রাজশাহীতে উৎসাহ-উদ্দীপনায় বড়দিন উদযাপিত

রাজশাহীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে বড়দিন। এ উপলক্ষে বুধবার মহানগরীর অভিজাত হোটেলগুলোতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া চার্চগুলোতে করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠেছেন।

রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রার্থনা। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কীর্তন গেয়ে বড়দিনের আগমনী বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন তারা। এরপর সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে বড়দিনের প্রার্থনা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহী সিটি চার্চে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ সময় চার্চের মধ্যে সবাই গেয়ে উঠেন। ‘ঊর্ধ্বলোকে ঈশ্বরের মহিমা এবং পৃথিবীতে তাহার প্রিয়পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।’ বড়দিন উপলক্ষে রাজশাহীর খ্রিস্টান সম্প্রদায় বেথলহেমের সেই আবহ সৃষ্টি করতে তাদের বাড়িতে তৈরি করেছেন প্রতীকী গোশালা।

রাজশাহী মহানগরীর বাগানপাড়া চার্চের ফাদার পল গোমেজ জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয় নগরীর দ্বিতীয় বড় উপাসনালয় বাগানপাড়া চার্চেও। বিশেষ উপাসনা শেষে দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতিভোজ।

এছাড়া ডিঙ্গাডোবা চার্চসহ মহানগরীর অন্যান্য উপাসনালয়ে রাতে যিশু খ্রিস্টকে স্মরণ করে প্রার্থনা করা হবে। এতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হবে।

এদিকে, গির্জা ও হোটেলেগুলো বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জায় সেজেছে। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন করে।

গির্জা ও অভিজাত হোটেলগুলোতে টুকটুকে লাল পোশাক পরা সফেদ দাড়ি-গোঁফের বুড়ো সান্তা ক্লজ উপহারের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোট্ট সোনামণিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মজার মজার উপহার।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে চার্চগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আনন্দঘন পরিবেশে সবাই বড়দিন উদযাপন করছেন। সকাল থেকে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিএ-০২/২৫-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)