বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক দরিদ্র কৃষককন্যা। বুধবার সকাল থেকে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ফরাদপুর এলাকার প্রেমিক খাইরুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই ছাত্রী।

প্রেমিক খাইরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই যুবতি উপজেলার কৃষ্ণবাটি কালিদিঘি গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজনই রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর প্রেমিক খাইরুল ইসলাম বাড়িছাড়া।

ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক খাইরুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে বিয়ের প্রলোভনে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলেন প্রেমিক।

সম্প্রতি বিষয়টি জেনে যায় পরিবার। এরপর থেকেই প্রেমিক খাইরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। বছর দেড়েক তিনি খাইরুলের বাড়িতে গিয়ে তা মা দেলখোস বেগম এবং মামা আব্দুল কাদিরকে বিষয়টি জানান।

ওই সময় তারা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন।
এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছেন প্রেমিক। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতি হবেন বলেও জানান ওই ছাত্রী।

পলাতক থাকায় এনিয়ে প্রেমিক খাইরুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার মা দেলখোস বেগম বলেন, তার ছেলের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। তবে একই সাথে পড়ালেখার সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদ জানান, বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের আলোচনা চলছে। দুপক্ষই মিমাংসায় রাজি হয়েছে।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ীর প্রেমতলি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল বারী জানান, এনিয়ে ওই ছাত্রী এখনো থাকায় কোন অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

বিএ-১৪/০৮-০১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)