রাজশাহীতে দীঘিতে মাছ মরাকে কেন্দ্র দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

রাজশাহীর বাগমারায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আসাদুল ইসলাম (৪৫) ও ভ্যান চালক ভুট্টু মিয়াকে (৩৮) চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই পক্ষের বাড়িঘর ও দোকানপাট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। ওই ঘটনায় বাগমারা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের একটি দীঘির মাছ মরাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মকছেদ আলী ও আব্দুল মান্নানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ওই সকল ঘটার জের ধরে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মকছেদ আলীর ভাই ভ্যান চালক ভুট্টু মিয়া তাহেরপুর হাট থেকে গরুর খড় কিনে নিজ বাড়ি কনোপাড়ায় ফিরছিলেন। ভুট্টু মিয়া একই ইউনিয়নের তালতলি এলাকায় আসলে আব্দুল মান্নানের লোকজন তাকে পিটিয়ে জখম করে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মকছেদ আলীর লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে একই এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

এ সময় তাদের হামলায় আসাদুল ইসলাম নামের এক যুবক আহত হয়। হামলার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে নজরুল ইসলামের লোকজন জানার সাথে সাথে তারাও সংঘবদ্ধ হয়ে মকছেদ আলীর পক্ষের আক্তার হোসেন আন্টুর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের দায়ীত্ব প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সাংবাদিকদের তথ্য কোন তথ্য দেননি।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, একটি দীঘির মাছ মরার ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সব ঘটনায় দুই পক্ষেই বাগমারা থানা ও রাজশাহীর আদালতে একাধিক মামলা করেছে। মামলা গুলো বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে শক্তহাতে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, কনোপাড়ায় এক ভ্যান চালককে মারার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। বর্তমানে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিএ-১৭/০৭-০২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)