কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে রাজশাহীর তিন স্টেডিয়াম

সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে রাজশাহীর তিনটি স্টেডিয়াম। তবে এখনো পাওয়া যায়নি করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ কীটস ও থার্মাল স্ক্যানার। দুই সপ্তাহ আগেই এগেুলো চেয়ে পাঠিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই এসব চলে আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভা হয়েছে।

সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান চৌধুরী, উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেখান থেকে বেরিয়ে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে নগরীর সপুরা এলাকায় অবস্থিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম, তেরোখাদিয়া এলাকায় অবস্থিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম ও মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম । এখানেই প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে সন্দেহভাজন রোগীদের।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত নিশ্চিত হলেই রোগীদের নেয়া হবে রামেক হাসপাতালেন আইসোলেমন ইউনিট ও ইনফেকশন ডিজিস (আইডি) হাসপাতালে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় ১৮টি শয্যার এই হাসপাতালটিতে ১২ শয্যা বাড়িয়ে ৩০ শয্যা করা হয়েছে।

এরই মধ্যে করোনা চিকিৎসায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের তিনটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। একটি দল রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে জ্বর -সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।

আরেকটি দল সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। আর অপর একটি দল কাজ করবেন আইডি হাসপাতালে।

করোনা চিকিৎসা উপকরণ বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, রাজশাহীতে এই মুর্হূতে করোনাভাইরাস নির্ণয়ের কীটস ও থার্মাল স্ক্যানার নেই। দুই সপ্তাহ আগেই সেগুলো চেয়ে পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগরিই এসব চলে আসবে।

এদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসক হামিদুল হককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হককে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলাদা কমিটি করা হয়েছে।

বিয়ষটি নিশ্চিত করে জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের সব দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছি। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগি পাওয়া যায়নি। তবে জনস্বার্থে আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাখছি।

বিএ-১৬/০৯-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)