আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ায় চাচাকে খুন

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ায় চাচা নাজিম উদ্দিন শাহ পিন্টুকে (৪৮) কুপিয়ে খুন করল ভাতিজা নাসির উদ্দিন। রোববার সকালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সিন্দুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধারালো সেই রক্তাক্ত হাসুয়াসহ ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত নাজিম উদ্দীন শাহ পিন্টু ওই গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া নাসির উদ্দিন তার ভাই নাজির উদ্দিন ওরফে নাজুর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জের ধরে প্রথমে চাচার পথ আগলে ধরে ভাতিজা। এ সময় চাচা-ভাতিজার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ভাতিজার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে চাচার ঘাড়ে কোপ বসায় ভাতিজা নাসির উদ্দিন। এতে গলাকেটে ঘটনাস্থলেই চাচা নাজিম উদ্দিন শাহ পিন্টুর মৃত্যু হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নাসির উদ্দিনকে হাসুয়াসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাসিরকে আটক করে। এ সময় আলামত হিসেবে রক্তাক্ত হাসুয়াটিও জব্দ করে পুলিশ। বর্তমানে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয়রা জানান, চাচা নাজিম উদ্দিনের সাথে নাসিরদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে আগে থেকেই পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। এজন্য তারা পাশাপাশি বসবাস করলেও কেউ কারো সাথে কথা বলতেন না।

নাসির উদ্দিন একটি মামলার আসামি ছিল। আর নাজিম উদ্দিন ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন। গেল কয়েক দিন আগে আদালতে ওই মামলায় ভাতিজার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন নাজিম। এ নিয়ে নাসিরের মধ্যে আক্রোশ আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মূলহোতা নাসির উদ্দিনকে হাসুয়াসহ আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এসএইচ-১৩/২৮/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)