রাজমিস্ত্রির কাজ করা রাবি শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন মেয়র লিটন

পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন  সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসনের পারিবারিক অসচ্ছলতার বিষয়টি মেয়রের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।

টিটু জানান, বুধবার রাতে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজে রাবি শিক্ষার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন দেখতে পান।  বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তার পরিবার ও শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়াসহ সকল খরচ ব্যয় করবেন।

শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন,  রাজশাহীতে গিয়ে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন দুচিন্তামুক্ত হলাম। মেয়র স্যার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এতে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি। আমরা মেয়র স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, পারিবারিক অসচ্ছলতায় চাপা পড়ে নিষ্পেষিত ইমরান মেধার প্রমান দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে সে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিল। পড়াশোনার খরচ জোগাতে রাজমিস্ত্রীর কাজও করছিল। মেয়র মহোদয়ের এই মহতি কাজের সাধুবাদ জানান।

উল্লেখ্য, ইমরান হোসেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাঝির ছেলে। আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। ইমরান দারিদ্র ঠেকাতে পারেনি অদম্য মেধাবী ইমরান হোসেনের পথচলা। কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাস শুরু হবে।

এসএইচ-১০/২০/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)