মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ১২, শিক্ষক-কর্মচারী ২০

শিক্ষার্থী ১২ জন আর শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২০ জন। ৩৫ বছর ধরে এভাবেই চলছে রংপুরের পীরগঞ্জে ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা। তবে শিক্ষকদের দাবি, ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। জমি দখল, নারী নির্যাতনসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

রংপুরের পীরগঞ্জে ৬ কক্ষের দোচালা টিনশেড ছাতুয়া মাদ্রাসা। মাদ্রাসাজুড়ে পাওয়া গেল ১২ শিক্ষার্থীকে। শিক্ষকের কেউ জানাতে পারেননি মাদ্রাসার প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। একজন শিক্ষক ২০০ শিক্ষার্থীর দাবি করলেও কাগজপত্রে আরও বেশি দেখানোর কথা জানালেন অকপটে।

নিজে নিয়োগ কমিটির সচিব হয়ে স্ত্রীকে কম্পিউটার শিক্ষিক পদে নিয়োগের অভিযোগ আছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও সরকারের দেওয়া ৩টি কম্পিউটার খুঁজে পাওয়া গেল না।

অন্যের জমি জোরদখল, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, গোপনে কমিটি গঠন, বিভিন্ন পদে নিয়োগের কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ আর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রহসনের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অধ্যক্ষ একেএম শহীদুল ইসলামকে তার দপ্তরে পাওয়া না গেলেও খোঁজ মেলে উপজেলা সদরে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সবই মিথ্যা দাবি তার।

মাঠ পর্যায়ে মাদ্রাসা বোর্ডের কার্যক্রম না থাকায় জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর কিছু বিষয় দেখভাল করলেও এ মাদ্রাসা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বললেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার মান না বাড়লেও অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেওয়ার পর বছর বছর শিক্ষক ও কর্মচারী ঠিকই বাড়িয়ে চলেছেন অধ্যক্ষ।

এসএইচ-০৪/১০/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)