প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে চৌদ্দ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আড়াইহাজার থানায় মামলা হয়েছে।

ধর্ষিতা কিশোরী বড় ভাই বাদী হয়ে প্রেমিক জুয়েল (২২) ও তার সহযোগী জালালকে (২৪) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেন। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কালাপাহাড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বিজয় কৃষ্ণ মজুমদার জানান, উপজেলার মেঘনাবেষ্টিত কালপাহাড়িয়ার বিবির কান্দী গ্রামের চৌদ্দ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে একই গ্রামের সাজন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে বিবিনকান্দি গ্রামের ফুফুর বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা বেড়াতে যান।

খবর পেয়ে ওই দিন রাতে ওই কিশোরীকে দেখা করার জন্য মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন জুয়েল। কিশোরী ঘর থেকে বেরুলে জুয়েলের বন্ধু বিবির কান্দি গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে জালাল মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী একটি ঝোপের কাছে নিয়ে যায়।

সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে জালালের সহযোগিতায় জুয়েল তাকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় ঘরে না ফেরায় ওই কিশোরীর স্বজনেরা তাকে বাড়ির আশপাশে খোঁজ করতে থাকেন। পরে বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে অজ্ঞান অবস্থায় পায়। জ্ঞান ফিরলে সে স্বজনদের সব ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি ধর্ষিতার পরিবার জুয়েল ও জালালের বাবা-মাকে জানালে তারা মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বলেন।

ধর্ষিতার বড় ভাই জানান, বুধবার শালিস বৈঠকে বসার কথা ছিলো। কিন্তু জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, তাদের লোকজন না থাকায় বসা হবে না। কবে বসবে তাও নির্দিষ্টভাবে বলেনি। এমনকি তারা ঘটনা চেপে যেতে তাদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, ঘটনাটি লোকমুখে জানান পর কালাপাহাড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের জবানবনন্দি নিয়ে বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। জুয়েল ও তার সহযোগী জালালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিএ-০২/১৯-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)