পদ্মা সেতুর ১৩ তম স্প্যানে দৃশ্যমান প্রায় দুই কিলোমিটার

পদ্মা সেতুর ১৩ তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর ১৯৫০ মিটার।

শনিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে পদ্মা সেতুতে ১৩ তম স্প্যান বসানো হয়। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘৩-বি’ নম্বরের স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ১৪ ও ১৫ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় এটি।

পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় শুক্রবার পদ্মা সেতুতে ১৩ তম স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি।

পদ্মাসেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে স্প্যানটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সফলভাবে বসানো সম্ভব হয়েছে। তৃতীয় মডিউলের দুই নম্বর স্প্যান এটি।

সকাল থেকেই পদ্মা উত্তাল, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর এর মধ্যেই শুরু হয় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।

তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে পদ্মায় ঢেউ বেশি থাকায় স্প্যানবহনকারী ক্রেন রওনা দিতে বিলম্ব হয়। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে স্প্যানটি নির্ধারিত দুটি পিলারের সামনে পৌঁছায়। ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি বহন করে।

স্প্যানটি নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় সেটি শুক্রবার বসানো স্থগিত করা হয়। আজ সকালে আবার স্প্যান বসানো হয়।

এর আগে ৬ মে ১২তম স্প্যানটি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।

এরপর পর্যাক্রমে সেতুর ১২টি স্প্যান বসানো হয়। এখন পর্যন্ত জাজিরা প্রান্তে সেতুর এক হাজার ৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তে একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর একটি অস্থায়ীভাবে স্প্যান বসানোয় সেতুর মোট এক হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান রয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর মোট ৪১টি স্প্যান বসবে।

বিএ-০১/২৫-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)