সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কারাদণ্ড

১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অধিক অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সত্যজিৎ মুখার্জিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৬ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সত্যজিৎ মুখার্জি সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় সত্যজিৎ মুখার্জি পলাতক ছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। রায়ে সত্যজিৎকে ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান মতে জরিমানা আদায় করবেন জেলা কালেক্টর।

দণ্ডিত সত্যজিৎ ফরিদপুর পৌরসভার গোয়াল চামটের মানষ মুখার্জির ছেলে। দুর্নীতির কারণেই এপিএস পদ থেকে সত্যজিৎকে অপসারণ করেন সাবেক প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী।

দুদকের মামলায় বলা হয়, ২০১৫-১৬ করবর্ষ পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানে এপিএস সত্যজিত মুখার্জির মোট দুই কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৯ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্টে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে আয় বাবদ এক কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ দেখা যায়। বাকি এক কোটি ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৬ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত হিসেবে প্রমাণিত হয়।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ জুন রমনা মডেল থানায় দুদকের উপপরিচালক কেএম মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। একই কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পরের বছর ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন। পরবর্তীতে মামলার বিচারকালে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ১৪ নভেম্বর মামলার রায় দেন বিচারক।

বিএ-১৬/১৯-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)