গুজবে রাজশাহীতে লবণ বিক্রির হিড়িক!

বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার টালমাটাল। এরই মধ্যে শোরগোল পড়লো লবণ নিয়ে। গুজব ছড়িয়েছে, আসছে লবণ সংকট! তাতে পোয়াবারো বিক্রেতাদের।

কি গ্রাম, কি শহর-গুজবে কান দিয়ে লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে পুরো অঞ্চলজুড়েই।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারের লবণের সরবরাহ পর্যান্ত। দাম বাড়ারও শঙ্কা নেই।

তবে এই সুযোগে কোথাও কোথাও লবন মজুদ ও চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গুজবের মধ্যেই আগের নির্ধারিত দামে লবণ বিক্রি করছে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারের মুদি দোকানী মোহিনী ট্রেডার্স।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা জানিয়েছেন, দুপুর থেকেই ক্রেতারা লবণ কিনতে লম্বা লাইন দেন।

বিকেলে এক ঘন্টায় তারা ১০০ বস্তা লবণ বিক্রি করেছেন। কিন্তু ক্রেতাদের লাইন বাড়ছেই।

অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কাণ্ডে ঠেকাতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। অনেতেই অতিরিক্ত লবণ নিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

গুজব থেকে এমনটি হয়েছে বলে স্বীকার করছেন ক্রেতারা। তবও কিনছেন অতিরিক্ত লবন।

গুজবে কান না দিকে মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করছে মাঠ প্রশাসন।

লবণ বাজারে অস্থিরতার খবরে মাঠে নামেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম। নগরীর খুচরা দোকান থেকে লবণের আড়ত ঘুরে দেখেন তিনি।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, প্রতিটি দোকানে, ডিলারের কাছে আমরা গিয়েছি। তারা আমাদের পর্যাপ্ত মজুদের কথা নিয়েছে। রাজশাহীতে এখন লবণের যে মজুদ আছে সরবরাহ বন্ধ হলেও তা দিয়ে অন্তত দুই মাসের চাহিদা পুরণ সম্ভব।

তিনি যোগ করেন, গুজবে কান নিয়ে সাধারণ মানুষে তাদের চাহিদার অতিরিক্ত লবণ কিনছেন। এতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী হতে পারে। মুনাফা লোভীরা বিক্রি বাড়াতেই এমন গুজব ছড়াতে পারেন। ক্রেতাদের অতিরিক্ত লবণ না কেনার আহবান জানান তিনি।

লবণ বিক্রিতে অতিরিক্ত দাম না হাঁকতে বিক্রেতাদের সর্তক করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, আগের চেয়ে লবণের ডিডির রেট এখন কম। ফলে লবণের দাম বাড়ার কোন প্রশ্ন ওঠেনা।

নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত দাম নেয়ায় দুই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় বাড়তি দামে ক্রেতাদের লবণ না কেনারও পরামর্শ দেন তিনি।

বিএ-১৫/১৯-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)