বরিশালে মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালের মুলাদী উপজেলার চরআলিমাবাদ এলাকায় টেটা দিয়ে কুপিয়ে মো. মোকলেস খান (৪৫) নামে এক মুদি দোকানিকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোকলেস খানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাাসাবাদের জন্য শনিবার সকালে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মোকলেস খান চরআলিমাবাদ এলাকার মো. মোজাম্মেল খানের ছেলে। মুলাদীর পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার মোল্লা বাজারে তার মুদি দোকান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, চরআলিমাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলতাফ ফকির ও আনোয়ার হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ৯ মার্চ যুবলীগ নেতা আবুল বাশার (প্রিন্স) সিকদারকে হত্যা করে আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন মোকলেস খান। যুবলীগ নেতা আবুল বাশার (প্রিন্স) সিকদারকে হত্যাকাণ্ডের জের ধরেই আনোয়ার হোসেনের সহযোগী মোকলেস খানকে হত্যা করা হয়েছে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মেদ স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, মোকলেস খান হত্যা ও ঘরপোড়া মামলার আসামি ছিলেন। গত সপ্তাহে জামিন পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। প্রতিপক্ষ আলতাফ গ্রুপের লোকজন জামিনের খবর পেয়ে মোকলেস খানকে খুঁজতে থাকেন। শুক্রবার বিকেলে চরআলিমাবাদ বাজার সংলগ্ন এলাকায় তারা মোকলেস খানকে পেয়ে যান। মারধর করেন মোকলেস খানকে। এসময় মোকলেস খানকে রক্ষা করতে তার স্বজনরাও এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে মারামারি বেধে যায়।

এসময় মাছ শিকারের যন্ত্র টেটা দিয়ে মোকলেস খানের পায়ে আঘাত করা হয়। এতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মোকলেস খানের মৃত্যু হয়।

ওসি ফয়েজ আহম্মেদ জানান, অভিযুক্তরা ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। ওই এলাকা এখন প্রায় পুরুষ শূন্য। অভিযুক্তদের সন্ধানে শিউলি বেগম ও নুপুর বেগম নামের দুই নারীকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি মামলা দায়েরেরও প্রস্ততি চলছে।

বিএ-১০/০১-০২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)