মোদির বাংলাদেশে প্রবেশ রুখে দেবে ছাত্র-জনতা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে উগ্র সাম্প্রদায়িক ভারতে রূপান্তর করেছে। এ ধরণের উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ বাংলাদেশে অতিথির বেশে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা ছাত্র-জনতা রুখে দেবে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলের তৃতীয় দিনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলাম সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। ইসলাম সব সময় শান্তি ও শৃঙ্খলার কথা বলে। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সেই শান্তির বাণী এদেশের ছাত্রসমাজের কর্ণকুহরে পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি মাহফিলে আগত সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক ও সামগ্রিকভাবে উন্নতির জন্য ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরামের সঞ্চালনায় ছাত্র গণজমায়েতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাইমুল আহসান খান, মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ফতওয়া বিভাগের চেয়ারম্যান ও মালয় প্রধানমন্ত্রীর সচিব ওয়ান জাহিদী বিন ওয়ান তেহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা জাকারিয়া হামিদী, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মুসলিম উম্মাহর বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের কারো জন্যই সুখকর নয়। এমতাবস্থায় মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত এবং সতর্ক থাকতে হবে। মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শরীক হতে হবে।

শনিবার সকাল ৮টায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক বার্ষিক মাহফিল শেষ হবে।

বিএ-১১/২৮-০২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)