প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বালিশ চাপায় স্বামীকে হত্যা

গাজীপুরে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন স্ত্রী। পরে দুজনে মিলে স্বামীর মরদেহ বালু চাপা দেন। এ ঘটনায় স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ নীলেরচর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ৬ জুলাই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর ১০ দিন পর শুক্রবার (১৬ জুলাই) গাজীপুর নগরীর কাশিমপুর শৈলডুবী এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষে বালুর নিচ থেকে ওই নারীর স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত জাহিদুল ইসলাম (৩০) কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার চর বোয়ালমারী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।

গ্রেফতাররা হলেন রৌমারী থানার বড়াই কান্দি গ্রামের শুকুর আলী দেওয়ানীর মেয়ে রুপালী খাতুন (২৫) ও তার প্রেমিক জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার নীলেরচর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোহাম্মদ সুজন মিয়া (১৯)।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জাকির হাসান জানান, জাহিদুলের স্ত্রী রুপালী খাতুনের সঙ্গে প্রেমিক সুজন মিয়ার ৮-৯ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে রুপালী তার স্বামী জাহিদুলকে হত্যার করে প্রেমিক সুজনের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করেন।

পরে গত ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে জাহিদুল বাসায় এলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, রুপালী দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে সুজন ঘুমন্ত জাহিদের হাত-পা চেপে ধরেন ও রুপালী তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে দুজন মিলে ওই নির্মাণাধীন বাড়ির বালুর নিচে তার মরদেহ চাপা দেন।

গত শুক্রবার জাহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এসএইচ-২২/১৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)