স্বল্পমূল্যের ডলার কিনে মিলল গামছা ভর্তি কাগজ

ডলার

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বল্পমূল্যে ডলার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় করা মামলায় প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আরব আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আরব আলী গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার ননীক্ষির ইউনিয়নের বড়ভাটরা গ্রামের ইয়াকুব আলী মোল্লার ছেলে। আর প্রতারণার স্বীকার অটোচালক নজরুল ইসলাম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার নজরুল ইসলামকে স্বল্পমূল্যে ডলার দেওয়া হবে এমন লোভ দেখায় আরব আলীসহ একটি প্রতারক চক্র। সেই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গত ২৭ জুলাই চার লাখ টাকা দেন অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলাম। বিনিময়ে তাকে গামছায় পেঁচানো একটি পোটলা দিয়ে বাড়ি নিয়ে খুলতে বলে। পরে বাড়ি নিয়ে গামছার ভেতর ডলারের পরিবর্তে শুধু কাগজ দেখতে পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন তিনি।

এই ঘটনায় পরদিন প্রতারক আরব আলীসহ ৪ জনের নামে থানায় মামলা করেন নজরুল ইসলাম। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা আরব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে প্রতারক আরব আলী। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী অটোচালক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাকে ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। আমি এই টাকা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে সংগ্রহ করেছি। এই প্রতারক চক্রের সকল সদস্যদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

প্রতারক আরব আলী বলেন, আমি কাপড়ের ব্যবসায়ী করি। পরে নজরুল ইসলামকে লোভ দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেই। পরে তার হাতে ভেতরে পেপার দিয়ে গামছার একটি পোটলা বানিয়ে তড়িঘড়ি করে কেটে পড়ি।

কালকিনি থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) সুমন কুমার আইচ জানান, টাকা প্রতারক হাতিয়ে নেয়ায় চক্রের প্রধান আরব আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাদারীপুরের কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, এই প্রতারক চক্রের সারাদেশ ব্যাপী একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ হাতিয়ে নেয়। একেক সময় তারা একেক রকম পন্থা অবলম্বন করেন।

কৌশল পরিবর্তন করলেও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা প্রচারক চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে নানামুখী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসএইচ-২০/২১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)