ঘুমন্ত দাদির পাশ থেকে শিশুকে নিয়ে পালাল নারী

যশোরের শার্শায় নাভরণ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনাস্টিক সেন্টার থেকে দুইদিন বয়সী একটি কন্যাশিশু চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের সহযোগিতার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, স্বজনরা শিশুটিকে অপরিচিত নারীর কোলে দেওয়ায় চুরি হয়েছে। এদিকে নবজাতককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মধুখালী গ্রামের বিল্লাল হোসেন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেকসোনাকে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভর্তি করান শার্শা উপজেলার নাভরণ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনাস্টিক সেন্টারে। ওইদিন বিকালে তার স্ত্রীর একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। হাসপাতালে শিশুটির দেখভালে নার্সের পাশাপাশি ছিলেন শিশুটির নানি ও দাদি।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে শিশুটির মা ও নানি রুমের বাইরে বের হয়। দাদি শিশুটির পাশে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সুযোগে আগে থেকে নজরে রাখা এক নারী ক্লিনিকের রুমে প্রবেশ করে শিশুটিকে কোলে নিয়ে পালিয়ে যায়। মা ও নানি ঘরে ফিরে দেখে বিছানায় নবজাতক শিশুটি নেই। পরে তারা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দিনভর খোঁজ করেও সন্ধান পায়নি।

পরিবারের অভিযোগ, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজগে বাচ্চা চুরির জন্য আগে থেকে অবস্থান করছিল ওই নারী।

চুরি হওয়া শিশুর এক স্বজন বলেন, ক্লিনিকে যদি নিরাপত্তারক্ষায় লোক থাকত তাহলে এখান থেকে শিশু চুরি হতো না। তিনি দাবি করেন, শিশুটি চুরি হয়েছে ক্লিনিকের চিকিৎসক-নার্সদের সহযোগিতায়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বজনরা শিশুটিকে আদর করতে অন্যের কোলে তুলে দেওয়ায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।

নাভরণ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের পরিচালক আবু রায়হান বলেন, আমার ক্লিনিকের সিকিউরিটি সব ঠিকঠাক ছিল। সিসিটিভির ফুটেজও আমাদের হাতে আছে। আদর করার কথা বলে এক নারী শিশুটিকে তার দাদির কাছ থেকে কোলে তুলে নেন।

এদিকে শিশুটি উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান বলেন, ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শার্শা থানায় বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে ৩টি নবজাতক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এসএইচ-০৭/১০/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)