পটুয়াখালী সদর উপজেলা ও জেলা সদর থেকে বড়বিঘাই, ছোটবিঘাই, মরিচবুনিয়া, মাদার বুনিয়া এবং কালিকাপুর ইউনিয়নের ২২ কিলোমিটার একটি সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের চলাচল। তবে গত এক দশ ধরে সংস্কার না করায় সড়কটি এখন একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী।
বিগত দিনে এলাকাবাসী মানববন্ধন ছাড়াও সড়কে ধানের চারা রোপণ এবং সড়কের গর্তের পানিতে মাছের পোনা ছেড়ে প্রতিবাদ জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এখন প্রায় প্রতিদিনই এই সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি এতে প্রাণহানির মত ঘটনাও ঘটছে
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের হেতালিয়া বাঁধঘাট থেকে আয়লা জিসি পর্যন্ত এই সড়কটির কোনো কোনো স্থানে তিন থেকে চার ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত হয়েছে। এতে প্রায়ই টমটম, অটোরিকশা এবং মটরসাইকেল উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন রাস্তায় গাড়ি উল্টে পড়ে। রাস্তার কারণে বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারে না।
অপর আরেক ব্যক্তি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় ভোগান্তি অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতীদের নিয়ে। এই রাস্তা দিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
জানতে চাইলে, এ বছরের মধ্যেই এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম শাহাবুদ্দিন বলেন, তিনটি মূল্যায়ন স্টেজ আছে। আমি আশা করছি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এটির কাজের অর্ডার হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এ বছরের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।
সদর উপজেলার এই পাঁচ ইউনিয়নে লাখেরও বেশি লোকের বসবাস। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
এসএইচ-০৮/২৩/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)