৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কন্যা সন্তান প্রসব

বরগুনার আমতলীতে বিয়ের পূর্বেই কন্যা সন্তান জন্ম দিলেন এক স্কুল পড়ুয়া কিশোরী। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় শুরু হয়েছে নানা আলোচনা আর সমালোচনা। সন্তান জন্ম দেওয়া ওই কিশোরী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের বাসিন্দা।

কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী (১৪)-এর সঙ্গে এক বছর পূর্বে একই এলাকার যুবক গুঞ্জুর আলী শিকদারের পুত্র বেল্লাল শিকদার (৪০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা এক সময় বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করার ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি কিশোরীর পরিবার এতদিন গোপন রাখে।

এরপর গত সোমবার সকালে ওই কিশোরীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তার মা গোপনে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। দুপুরের পরে ওই হাসপাতালে কিশোরী একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। গতকাল মঙ্গলবার এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে আমতলী থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

সন্তান জন্ম দেওয়া কিশোরীর মা বলেন, আমার ছোট মেয়ে একটি বড় ভুল করে ফেলেছে। ওর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি অনেক পরে জেনেছি। তখন কিছুই করার ছিলো না। এখন অভিযুক্ত যুবক আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ঝন্টু তালুকদার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উভয় পরিবার যদি রাজি থাকে তাহলে সামাজিকভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা শারমিন মুঠোফোনে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া স্কুল পড়ুয়া ওই কিশোরী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। মা ও সন্তান দুইজনেই সুস্থ আছে।

আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, সন্তান জন্ম দেওয়া কিশোরীর পরিবার যদি এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ দাখিল করে তাহলে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএইচ-০৫/১৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)