পুলিশের ভয়ে পায়ের জুতার ভেতরে লুকিয়ে সোনার বার পাচার করছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবশেষে সেই পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হলো। এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে আসা যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে।
এ ঘটনায় জড়িত সুপ্লব ধর নামে এক যুবকের শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে সোনা চোরাচালানের দায় স্বীকার করায় আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদ উল্লাহ বাহার জানান, দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী সাগরিকা ট্রেনে যাত্রীবেশে সোনার দুইটি বার নিয়ে উঠেন সুপ্লব ধর (৩৫)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রেনের বগি জ-১৬৩৯ এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ওই ব্যক্তির পায়ের দুইটি জুতা তল্লাশি করে ১শ ৪ ভরি (এককেজি ২ শ গ্রাম) ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের ধারণা আটক ব্যক্তি সোনা চোরাচালান চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হাজারি গলি থেকে চাঁদপুর হয়ে রাজধানী ঢাকার তাঁতিবাজারে সোনার চালানটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সুপ্লব ধরের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রামপুর গ্রামের বনিকপাড়ায়। আটক ব্যক্তি আরও স্বীকার করেছেন, সোনার বারগুলো নিয়ে ঢাকায় একজনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় ছুটে যান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোর্শেদ, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল গফুর। তাদের উপস্থিতিতেই সুপ্লব ধরের শরীর তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে তার দুই পায়ের দুটি জুতোর ভেতর থেকে লুকানো অবস্থায় সোনার দুইটি বার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় উপপরিদর্শক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে আরেক অভিযানে প্রায় ১ শ ভরি ওজনের আরও কয়েকটি সোনার বার উদ্ধার করে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ।
এসএইচ-০৫/২০/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)