ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে রোববার তৃতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয়েছে। তবে তৃতীয় দিনে দুপুর একটা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্বজনদের দাবি, কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার সকাল থেকেই দুর্ঘটনা কবলিত সুগন্ধা নদীর দিয়াকুলসহ আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিসের অভিযানে কোনো মরদেহ উদ্ধার হয়নি।
এদিকে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশের পক্ষ থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা এসে তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন ।
সদর থানা পুলিশ এ কন্ট্রোল রুমে নিখোঁজ স্বজনদের দেওয়া তথ্যে ৪৭ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছে। এছাড়া ঝালকাঠি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ৫১ নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করেছে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে রোববার দুপুরে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে রাখা পোড়া লঞ্চ অভিযান-১০ পরিদর্শনে আসেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শন দল।
সাংবাকিদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, লঞ্চটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। ঢাকা-বরিশাল রুটের সব লঞ্চেই ওপরে বিলাসবহুল ব্যবস্থা থাকে, কিন্তু ইঞ্জিন রুমে নিরাপত্তার জন্য কিছুই থাকে না।
এসএইচ-০৯/২৬/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)