পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দিলেন আসপিয়া

জমিসহ ঘর পাওয়ার পর বরিশালের কলেজছাত্রী আসপিয়া এবার যোগদান করলেন ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনেস্টবল পদেও। দিলেন করোনা পরীক্ষা। রিপোর্ট পাওয়ার পর তাকে পাঠানো হবে ৬ মাসের প্রশিক্ষণে। পুলিশ যোগদান করতে পেরে খুশি আসপিয়া। সাহসিকতায় অভিনন্দন জানিয়েছেন তার সঙ্গীরা।

পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন তাঁকেসহ নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।

এ সময় আসপিয়া পুলিশ সুপারকে তার চাকরির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও গণমাধ্যমের প্রতিও তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিন সকালে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে আসেন পুলিশের কনস্টেবল পদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আসপিয়া। হাসপাতালে করেন, করোনা টেস্ট। জানান, বহু কাঙ্ক্ষিত পুলিশের চাকরিতে যোগদানে খুশি তিনি। এরইমধ্যে জমিসহ ঘরও পেয়েছেন জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সরকারের কাছে।

আসপিয়া বলেন, ‘শুধু চাকরি নয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইও হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই ঘরের নির্মাণকাজও প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্য দিয়ে বরিশালের হিজলায় নিজেদের স্থায়ী বসতি হচ্ছে।’

৭ ধাপ উত্তীর্ণ হয়েও কেবল স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় পুলিশের চাকরি আটকে যাচ্ছিলো আসপিয়ার। তবে হাল ছাড়েননি। আসপিয়া ছোটেন বরিশালে পুলিশের ডিআইজির কাছে। এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে প্রধানমন্ত্রী তাকে ২ শতাংশের জমিসহ একটা ঘরই উপহার দেন। পান স্থায়ী ঠিকানা। আর অবশেষে মিলল পুলিশের চাকরিও। আর আসপিয়ার এই চাকরিতে যোগদান দেখতে আসেন স্বজনদের অনেকেই। সাহসিকতায় শুভেচ্ছা জানান তারা।

বরিশাল পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসান জানান, করোনা রিপোর্ট পেয়ে আসপিয়াকে ট্রেনিংয়ে যেতে হবে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে।

তিনি বলেন, ‘আসপিয়ার এই লড়াই ও দৃঢ়তা আমাদের মুগ্ধ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আসপিয়া তাঁর কাঙ্ক্ষিত চাকরি ও মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। এটা এক অনন্য উদ্যোগ। আসপিয়ার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিতে পেরে আমরা ভারমুক্ত, আনন্দিত।’

এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, মো. ইকবাল হোছাইনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচ-২৫/২৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)