৯ শর্তে সাজার বদলে বাড়ি ফিরলেন দুই মাদকসেবী

অপরাধ প্রমাণের পরেও সাজার বদলে নিজেকে শোধরানোর সুযোগ পেয়েছেন দুই মাদকসেবী। তবে এ জন্য তাদেরকে মানতে হবে ৯টি শর্ত। মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ সোমবার এই রায় প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়। পুলিশ ওই মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করলে সোমবার আসামিরা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে দোষ স্বীকার করে অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে দোষ স্বীকার করায় আদালত তাদেরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। কিন্তু তাদের বয়স বিবেচনা এবং আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়া আর কোনো মামলা না থাকায় তাদেরকে সাজার পরিবর্তে প্রবেশনের আদেশ দেন আদালত।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন যে, আসামিদের শাস্তি ভোগের জন্য কারাগারে পাঠালে দাগী অপরাধীদের সহচর্জে পুরোদস্তুর অপরাধী হয়ে সমাজে প্রত্যাবর্তনের আশংকা আছে। তাছাড়া দণ্ডের উদ্দেশ্যে শুধু শাস্তি নয় বরং সংশোধন হওয়ায় মাধ্যমে আসামিদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রে একজন সুনাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ প্রদান করা। এমতাবস্থায় তাদের সমাজে সৎ, পরিশ্রমী এবং আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠার সুযোগ প্রদান করা সমীচিন হবে।

আসামিদের অবশ্যপালনীয় ৯টি শর্ত হচ্ছে- মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, স্ত্রী সন্তানের প্রতি মনোযোগী হওয়া, সকল প্রকার অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করা, সৎ জীবনযাপন করা, ধূমপান ও মাদক সেবন না করা, কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলা এবং এ সম্পর্কে নিজ এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টি করা, নিজ এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে মাদক বিরোধী প্রচারণা করা।

প্রবেশনের এক বছর আসামিদেরকে আদালতকর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

এসএইচ-২৩/১৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)