সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউই

সমুদ্র দূষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটকসহ যেকোনো মানুষের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু মানছে না কেউই। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্লাস্টিকও ফেলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ছেঁড়াদ্বীপের প্রবেশমুখেই বসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকানপাট।

সেন্টিমার্টিনে প্রতিদিনই ভিড় করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। আর নিষেধাজ্ঞা মানাতে যাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তাদের দেখা নেই স্পটে।

স্বচ্ছ নীল জলরাশি, কোরাল পাথর ও সামুদ্রিক জীবিত প্রবাল রয়েছে ছেঁড়াদ্বীপে। কিন্তু পর্যটকের চাপে হুমকির মুখে জীবিত প্রবালগুলো। পর্যটকরা ভ্রমণে গিয়ে বালিয়াড়িতে ফেলছেন প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য ও পলিথিন। এতে সমুদ্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে হুমকিতে ফেলছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

সেন্টমার্টিকে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, আমরা আসলে দিন দিন অসচেতন হয়ে পড়ছি। সাইনবোর্ড টাঙানোর পরেও যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছি। আসলে এটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমরা এই অভ্যাস থেকে এখনো বের হতে পারছি না। এরকম ভুল আমিও অনেকবার করে ফেলেছি। তবে আমাদের আস্তে আস্তে সচেতন হওয়া উচিৎ।

সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণে পর্যটকরা যাতায়াত করতেন কাঠের নৌকা, ট্রলার, ঘামবোট ও স্পীডবোট। কিন্তু এখন সড়কপথে মোটরসাইকেল এবং ইজিবাইকযোগেও যাচ্ছেন।

তবে পর্যটকদের নিষেধ করলেও তোয়াক্কা করেন না। আবার নিষেধাজ্ঞার আদেশ মানাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও পাওয়া যায় না বলে দাবি করেন সেন্টমার্টিন পরিবেশ অধিদপ্তরের নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা যথা সময়ে প্রশাসনের সহযোগিতা পাই না। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে সাইনবোর্ডে টাঙানো নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে রূপান্তর করা যেতো। প্রশাসন যদি আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে আমরা সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব।’

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ছেঁড়াদ্বীপে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারি করে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিন ছেঁড়াদ্বীপে যাচ্ছেন ৭০০ থেকে ১২০০ পর্যটক। আর বসে ২০টির বেশি অস্থায়ী দোকান।

এসএইচ-০৮/২৫/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)